পাচুন্দি থেকে আমরা রওনা দিলাম বহুলার উদ্দেশ্যে, ৫১ সতী পীঠের অন্যতম বহুলা, বিশ্বাস মতে দেবীর বাম বাহু এখানে পড়েছিল, দেবী এখানে বহুলা আর ভৈরব ভীরুক নামে পুজো পেয়ে থাকেন। পাচুন্দির স্থানীয় মানুষদের থেকে পথনির্দেশ নিয়ে আমরা পায়ে হেঁটেই যাত্রা শুরু করলাম স্থানীয় সবারই বক্তব্য একটু খানি দুরত্ব, ১৫ মিনিট লাগবে, গাড়ী করার দরকারই নেই। প্রথম বার বেরনো আর তখন স্মার্ট ফোনের যুগও শুরু হয়নি তাছাড়া ধারনা ছিলনা স্থানীয় মানুষের হাঁটা আর শহুরে অনভ্যস্ত পায়ে হাঁটার মধ্যে অনেক পার্থক্য, দুবার মিনিট ১৫ হাঁটার পর জিজ্ঞেস করেছি সবাই বলছে একটু খানি রাস্তা।
সে সময় কেতুগ্রামে পালাবদলের পালা চলছিল, রাস্তায় মোতায়েন E.F.R., আমাদের সঙ্গে নিজেদের ঝোলা ছাড়াও অট্টহাসের মন্দিরে দেওয়ার জন্য চাল, ডাল এর একটা বড় ব্যাগ, কাজেই পথে সকলের সন্দেহ নিরসন করতে করতে এগোতে একটু বেশীই সময় লেগেছিল। রোদ্দুর মাথায় করে হাঁটতে হাঁটতে যখন প্রায় মন্দিরের কাছে পৌঁছে গেছি তখন আর লোকের কথায় ভরসা না রেখে গরুর গাড়ীর মত ছই দেওয়া ভ্যানের সাহায্য নিতেই হোল, চুক্তি আমাদের বহুলা ঘুরিয়ে অট্টহাস পৌঁছে দেবে, এতটা পথ হেঁটে এসে ওখান থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বের রাস্তা পৌঁছালাম ভ্যানে করে।